এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে চায় চীন। রোববার ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি মতে, মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাস্তবসম্মত সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন চীনের দূত। চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আরো গভীর সম্পর্ক স্থাপনের আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুও। এছাড়া ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। এ সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানান।

তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নত হওয়া ও কয়েকশ’ কোটি ডলারের ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময়ে মন্ত্রী চীনা অর্থায়নের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সঠিক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। চীনা রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং বাংলাদেশে শিল্প উন্নয়নে চীনের বিনিয়োগগুলোর বিষয়ে যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে চীন, তার বিষয়ে অবহিত করেন।

রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর জন্য চীনের মানবিক সহায়তায় চীনের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট দূর করতে মিয়ানমার যাতে সঠিক পথে হাঁটে সেই জন্য চীনের শক্তিশালী সহযোগিতা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর প্রত্যাবাসনে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে চীন। সংকটের সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে বেইজিং।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version