এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবধরনের চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে চালু হচ্ছে উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থা। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে আসামের সবচেয়ে অরক্ষিত নদী সীমান্তে ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থা চালু হবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে অস্ত্র, মাদকসহ সব ধরণের চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ মোকাবিলা সহজ হবে। তাছাড়া এই ব্যবস্থা চালু হলে বিএসএফের সীমান্ত টহল দিতে যে অপরিসীম পরিশ্রম করতে হয় তাও অনেক কমে যাবে।
সূত্রের খবর, আসামের ডিব্রুগড় জেলায় যেখানে ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেখানে ৬ কিলোমিটার নদী সীমান্তে এই স্মার্ট ফেন্সিং চালু করা হচ্ছে। সুসংহত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অধীনে বর্ডার ইলেকট্রনিক্যালি ডমিনেটেডকিউআরটি ইন্টারসেপশান টেকনিকের উদ্বোধন করবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হযেছে, সীমান্তের যেখানে যেখানে নদীর চর এবং একাধিক চ্যানেল রয়েছে সেই সব জায়গাতেই এই স্মার্ট ফেন্সিং চালু করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ৫ কিলোমিটার করে দুই জায়গায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থা গত সেপ্টেম্বর থেকে চালু করা হয়েছে।্ এবার তা পূর্ব সীমান্তেও চালু করা হল। ২০১৭ সালে বিএসএফ জওয়ানদের নজরদারির পাশাপাশি এই উচ্চ প্রযুক্তি নজরদারি ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর পর গত বছরের জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে বিএসএফের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ।
ফলে গোটা ব্রহ্মপুত্র নদের পুরো অংশটাই এই ব্যবস্থার আওতায় এসে যাবে।
এজন্য সিসি ক্যামেরা, লেজারওয়াপল এবং মাইক্রোওয়েভ ব্যবস্থার মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি চালানো সহজ হবে। শুধু তাই নয়, চোরাচালান বা অনুপ্রবেশের মত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তা কন্ট্রোল রুমের নজরে চলে আসবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব রয়েছে বিএসএফের উপরে। সীমান্তের বহু অংশেই কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে নদী সীমান্ত এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নজরদারির জন্য এই উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থা ধীরে ধীরে চালু করা হবে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version