এখন থেকে সচিবালয়ে অফিস করবেন কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অফিস এখন দুই জায়গায় করবো (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়)। কিন্তু ওখানে বেশি মশা। এখন পর্যন্ত দু’বার কামড় দিয়েছে। একবার চিকুনগুনিয়া আবার ডেঙ্গু… এটা কি কথা হলো নাকি, আমি আর ভয়ে ওখানে যাচ্ছি না। এখানে আসতে দুই ঘণ্টা লেগেছে আজ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে জন্য যা যা করার দরকার সরকার তা করেছে। এখন  দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর প্রভাব পুঁজিবাজারে আসা উচিত। সারা বিশ্ব বলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন শক্তিশালী। তাহলে পুঁজিবাজরে কেন প্রভাব ফেলবে না, প্রভাব আসা উচিত। এখানে বড় বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থাকা দরকার। এখানে যারা ক্ষুদ্র তাদের সংখ্যা বেশি। যখন কোনো ঘটনা ঘটলো সেটার ইমপ্যাক্ট বাংলাদেশেও পড়ে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে ডিভিডেন্টের উপর একাধিকবার কর আরোপ করা হয়। বাজেটে আমি তা তুলে নিয়েছি। বিনিয়োগ করলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ফ্রি করা হয়েছিল, এটাকে বাড়িয়ে ডাবল করে ৫০ হাজার করেছি। সরকারের তরফ থেকে যা যা করার সরকার তা করবে। কারণ হাজার হাজার মানুষ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার কাজটি হবে পুঁজিবাজারের জন্য একটি সুন্দর অবস্থান তৈরি করে দেওয়া যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। পুঁজিবাজারের লাভ-লোকসানের সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয়। এখানে যারা বিনিয়োগ করবে তারাই লাভবান হবে, লাভও হতে পারে লোকসানও দিতে পারেন।

প্রত্যেক দেশেই পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম কমে বিভিন্ন কারণে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন একটি ট্রেড ওয়ার চলছে সেটা থাকবে না। কয়দিন আগে চায়না ও আমেরিকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে, যেটা হয়েছে এর ফলে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ওয়ার্ল্ড ট্রেড কমে গেছে। আমি মনে করি এসব বিষয় অনেক সময় প্রভাব ফেলে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন তথ্য জানা নেই। ইন্ডিয়ার পুঁজিবাজার ইনডেস্ক চলে আসছিল ১৮ হাজার থেকে ৭ হাজার আবার এখন ৭ হাজার থেকে ২৩ হাজার। আমাদের এখানেও কমেছে এবং বেড়েছে , আমদের এখানে মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। এখানে বেশি ওঠা-নামা করে না।

এসবি গ্রুপ টেরাকোটা রপ্তানির নামে টাকা পাচার করেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। যেই করুক তিনি যতই শক্তিশালী হোক, আমার পরিবারের সদস্য হলেও শাস্তির আওতায় আসতে হবে।

বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুর বিষয়ে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক অনেক পুরনো হিসাব নিয়ে এলে আমি পারবো না, অতীতেরগুলো টেনে এনে আমাকে জরাজীর্ণ করবেন না। বর্তমানগুলোর দায়িত্ব আমার।

ব্যক্তিগত শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম। এখন আর সমস্যা নেই, অসুখ ভালো হয়ে গেছে। চশমা ব্যবহার করে চোখের সমস্যা চলে গেছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version