সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের নাগরিক প্রিয়া সাহার অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশদ্রোহী বক্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অসত্য, দেশদ্রোহীমূলক বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, প্রক্রিয়া চলছে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার বিভিন্ন ধর্মের ২৭ জন মানুষকে ডেকে তাদের দুর্ভোগের কথা শোনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জার্মানি ও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেয়া প্রিয়া সাহা ট্রাম্পকে বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশেই থাকতে চাই। এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং জমিজমাও দখল করেছে। কিন্তু এর কোনো বিচার হয়নি।’

কারা জমি ও ঘরবাড়ি দখল করেছে তা ট্রাম্প জানতে চাইলে প্রিয়া সাহা বলেন, সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলো এসব দখল করেছে। ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার এ অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তার বক্তব্য ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

এদিকে সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের নাগরিক প্রিয়া সাহার অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে সরকার।

শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যেই প্রিয়া সাহা এই ধরনের বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ করেছেন।’ সূত্র ইউএনবি

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version