ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা দেওয়া নির্ধারিত জায়গায় পশুর হাট বসাতে হবে। রাস্তায় পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া কোরবানি পশুর চামড়াও ঢাকার বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

আজ সোমবার ডিএমপির সদর দপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেকটি হাটে থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। চামড়া কেনাবেচা ও পাচার রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মানি এস্কর্ট ও জাল নোট শনাক্তকরণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নগরীর বিপণী বিতানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার থাকবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের সবার সাথে সমন্বয় করে একটি সুন্দর কোরবানির পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা শহরে অনুমোদিত পশুহাটে থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারি। পশুবাহী ট্রাক যেখানে যেতে চায় তাকে সেখানে যেতে দিতে হবে। কোনো অবস্থায় তাকে বাধা দেওয়া যাবে না।

পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রত্যেকটি ট্রাক তার গন্তব্য স্থানের নাম বড় করে ব্যানার বানিয়ে টানিয়ে সামনে ঝুলিয়ে দিবে। কোনোভাবেই এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নামানো যাবে না। যদি এমন কেউ করে তাকে ফৌজদারি অপরাধে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত হাসিলের অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। হাসিলে টাকার হার বড় ব্যানারে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা হতে বহি:গমন পথগুলোতে বসানো হবে চেকপোস্ট ও নদী পথে বাড়ানো হবে নৌ পুলিশের টহল। ঢাকার বাহির থেকে শুধুমাত্র কাঁচা চামড়াবাহী যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। কোনো কাঁচা চামড়াবাহী যানবাহন ঢাকা থেকে বাহিরে যেতে পারবে না।

সমন্বয় সভায় ডিএমপি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, দোকান মালিক সমিতি, হাট ইজারাদার, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version