নয়নপুর বাজারে তাদের সাক্ষাৎ হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী তানিয়া ও তার বান্ধবী প্রিয়া শহীদুলকে জাপটে ধরে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন। এতে স্থানীয়রা শহীদুল ইসলামকে ধরে পেটাতে আরম্ভ করেন।

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে জাপটে ধরে ‘ছেলধরা’ বলে চিৎকার করায় বেদম প্রহারের শিকার হয়েছেন শিকার শহীদুল ইসলাম (৩৫) নামের যুবক।

২৩ জুলাই, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নয়নপুর বাজারে এঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার শহীদুল ইসলামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকায়।

এসময় দুই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। তারা হলেন- গণপিটুনির শিকার শহীদুল ইসলামের স্ত্রী নয়নপুর এলাকার তানিয়া আক্তার ও তার বান্ধবী প্রিয়া। তাদের উভয়ের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় নয়নপুর বাজার এলাকায় ওই দুই নারী শহীদুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে ছেলেধরা বলে চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে শহীদুল ইসলামকে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে শহীদুল ইসলাম দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ওই নারীরাও পালানোর চেষ্টা করেন। তবে জনতা ওই নারীদের পাকড়াও করে পুলিশে খবর দেয়।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীকে না জানিয়ে শহীদুল ইসলাম নয়নপুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এমন খবরের ভিত্তিতে স্ত্রী তানিয়া আক্তার তার বান্ধবী প্রিয়াসহ স্বামী শহীদুল ইসলামের খোঁজ করতে যান। পরে নয়নপুর বাজারে তাদের সাক্ষাৎ হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী তানিয়া ও তার বান্ধবী প্রিয়া শহীদুলকে জাপটে ধরে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন। এতে স্থানীয়রা শহীদুল ইসলামকে ধরে পেটাতে আরম্ভ করেন। পরে এক সুযোগে শহীদুল ইসলাম পালিয়ে যান। এ সময় এলাকাবাসী ওই দুই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আমিনুল ইসলাম বলেন, “ওই নারীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এঘটনা ছেলেধরা বিষয়ক কোনো ঘটনা নয়। এটি স্বামী স্ত্রীর বিবাদের ঘটনা।”

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version