ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ এডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে। এই মশাগুলো অনেক হেলদি ও সফিস্টিকেটেড, তারা বাসাবাড়িতে বেশি থাকে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে সোসাইটি অব মেডিসিন এবং ঢামেক মেডিসিন বিভাগ।

মন্ত্রী বলেন, এডিস মশার প্রডাকশন অনেক বেশি। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন আমাদের দেশে এসে বেড়েছে, সেভাবেই এই মসকিউটো পপুলেশনও বেড়েছে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।

তবে মশা নিধন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না, এটি সিটি করপোরেশনের কাজ ।

এ কাজে সিটি করপোরেশনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালিক বলেন, একটা রোগীও চিকিৎসার বাইরে নেই। কেউ বিনা চিকিৎসায় ফেরত যান নাই। সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে কীভাবে ডেঙ্গু রোগীদের হ্যান্ডেল করতে হবে, তা যদি না হতো তাহলে আরও বেশি মৃত্যু হতো, শত শত মারা যেতো। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এমন সংবাদ পরিবেশনে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জানতে হবে, দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জন মারা যায়, সাপের কামড়ে মারা যায় ১০ জন, হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় শত শত লোক। সে সব খবর আমরা রাখি না। কিন্তু গত কয়েক মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছে মাত্র ৮ জন। তাই আমরা চাই না এ নিয়ে কোনও আতঙ্ক সৃষ্টি হোক।

সেমিনারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ও অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version