ইরানের সঙ্গে যদি কোনো সমঝোতা চায় যুক্তরাষ্ট্র তাহলে তাদেরকে অবশ্যই সব রকম অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে। এমন দাবি জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তার এমন কথার অর্থ হলো, ইরানকে াবশ্যই তার তেল রপ্তানি করার অনুমতি দিতে হবে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় হাসান রুহানির বক্তব্য। এতে তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে শান্তি হলো সব শান্তির মা। আর ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ হলো সব যুদ্ধের মা। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বক্তব্যে এসব কথা বলছিলেন। এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের প্রশংসা করেন হাসান রুহানি।

গত ৩১ শে জুলাই জাভাদ জারিফের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র সহ শক্তিধর দেশগুলো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গত বছর সেই চুক্তি বাতিল করেন। এতে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নতুন অবরোধ আরোপ করে যাচ্ছে। আর ইরানও হরমুজ প্রণালীতে চলাচলকারী কয়েকটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটক করেছে। গুলি করে ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বহু কোটি টাকা মূল্যের একটি অত্যাধুনিক ড্রোন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব খারাপ। যে কোনো সময় সেখানে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

হরমুজ প্রণালী নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, একটি প্রণালী তো প্রণালীই। এর অর্থ এমন হতে পারে না যে, হুরমুজ প্রণালী আপনাদের জন্য উন্মুক্ত। যেমনটা জিব্রাল্টার প্রণালী আমাদের জন্য অবাধ নয়। বিশ্বে যে পরিমাণ তেল রপ্তানি হয় তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ যায় হরমুজ প্রণালী দিয়ে। রোববারও সেখান থেকে তেলবাহী ইরাকের একটি ট্যাঙ্কার আটক করেছে ইরান। তারা বলেছে, ওই তেল পাচার করা হচ্ছিল আরব দেশগুলোতে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version