ভারতের আদালতে অর্থপাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এখন এই তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। তদন্তে সত্যতা পেলে তার মালয়েশিয়ায় বসবাসের অনুমতি বাতিল করা হবে বলে জানা গেছে।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী আদিলি বলেছিলেন, বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন যেকোনও কিছু এড়াতে চান তারা। তিনি বলেন, আমরা সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই। তাই জাকির নায়েককে কোনও বক্তব্যের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশটির সাতটি রাজ্যে নিষিদ্ধ হয়েছেন জাকির নায়েক। এগুলো হলো মেলাকা, জোহর, সেলানগর, পেনাং, কেদাহ, পেরলিন এবং সারাওয়াক।
জোহর রিলিজিয়াস ইসলামিক ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক দাতুক মো. রফিকি শামসুদ্দিন বলেন, তারা কখনোই জাকির নায়েককে জনসভায় কথা বলার অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, ‘যেকোনও ধর্মীয় বক্তাকে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তারা যেন কোনও বর্ণ বা বিশ্বাসের মানুষের বিপক্ষে কথা না বলে সেজন্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া।
এর কিছুক্ষণ পরই পেনাংয়ের উপমুখ্যমন্ত্রী দাতুক আহমাদ জাকিউদ্দিন আব্দুল রাহমান বলেন, তারা জন সমাবেশে বক্তৃতার জন্য জাকির নায়েককে স্বাগত জানাবেন না। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আরও ছয় মাস আগে। তিনি বলেন, ‘জাকির যখন আমাদের সঙ্গে দেখা করেন তখন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিলো। তার মধ্যে ছিলো পেনাংয়ে জনসমাবেশে বক্তব্য দেওয়া। কিন্তু আমরা তাকে তৎক্ষণাত মানা করে দেই।
অন্যদিকে কেদাহ রাজ্যের ধর্ম বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ইসমাইল সালেহ জানান, জাকির নায়েককে এই রাজ্যে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে তিনি কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারবেন না। এ রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সব কিছুর আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সেলানগর ইসলামিক পরিষদের চেয়ারম্যান দাতুক মোহাম্মদ খুশরিস মুনাউই বলেন, জাকির নায়েককে নিয়ে সাম্প্রতিক সমালোচনার প্রেক্ষিতেই তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মনে হয় সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়াই উত্তম।