কাশ্মীর ছাড়া ভারতের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। তারা যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কখনো, তবে পাকিস্তান সেই যুদ্ধ শেষ করবে। সেই যুদ্ধ শুধু শ্রীনগর অথবা জম্মুতে শেষ হবে না। তা শেষ হবে দিল্লিতে। ভারতকে উদ্দেশ্য করে এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের যুদ্ধ হিস্টেরিয়া সৃষ্টির বিষয়ে তিনি এমন কথা বলেছেন। তিনি রাজনাথ সিংয়ের হুমকির জবাব দিয়েছেন ওই ভাষা ব্যবহার করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।

ফিরদৌস আশিক আওয়ান শনিবার পাকিস্তানে গভর্নর হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সেখানে তিনি বলেন, পাকিস্তান কখনো যুদ্ধ শুরু করবে না। লঙ্ঘন করবে না আন্তর্জাতিক আইন। কিন্তু যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয় তাহলে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিজন পাকিস্তানি যুদ্ধ করবেন। তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন ও মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়নদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভারতের আসল চেহারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতেই হবে। কাশ্মীরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত। তিনি আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এরই মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক সব ফোরামে তুলে ধরেছেন। তিনি আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার বক্তব্যে এ ইস্যুটি তুলে ধরবেন। ব্যাখ্যা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের মনোভাব। তারা কাশ্মীর উপত্যকাকে জেলে পরিণত করেছে। এ ছাড়া ইমরান খান জাতিসংঘকে তার ১১টি রেজ্যুলুশন বাস্তবায়নের আহ্বান জানাবেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার আর কোনো ইস্যু নেই। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ফিরদৌস আশিক আয়ান বলেন, একজন আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নেতার বক্তব্য এটা। ইমরান খানের ওই বক্তব্য এটাই ব্যাখ্যা করে যে, কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানকে দুর্বল ভাবা উচিত হবে না। যদি কাশ্মীরকে আলোচনার অংশ করা না হয় তাহলে ভারতের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসবে না পাকিস্তান।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইমরান খানের বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ইভেন্ট চালু করবে। ইমরান খান এ বিষয়ে বিভিন্ন গ্রুপকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি কাশ্মীরিদের অধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে তা বিশ্বের সর্বত্র প্রচারিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। একতা, সম্প্রীতি, কাশ্মীরের মালিকানার বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে এ ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যাশনাল সলিডারিটি ডে উদযাপিত হবে। ফিরদৌস আশিক আয়ান বলেন, শিখ, খ্রিস্টান, হিন্দু সহ পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। ভারতের মুসলিমরাও সংহতি প্রকাশ করেছেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version