চীন থেকে ৮০০ কোটি রুপির আগরবাতি আমদানি করে ভারত। এসব আগরবাতি ব্যবহৃত হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে উপাসনালয়ে ও বিভিন্ন রকম ধর্মীয় রীতি পালনে। বেশির ভাগ আগরবাতি আসে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে। খাড়ি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের ডাটায় এ কথা প্রকাশ পেয়েছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভারতে রয়েছে ৬০০০ কোটি রুপির আগরবাতি কারখানা। তা সত্ত্বেও ২০১৮ সালে আমদানি করা হয়েছে ৮০০ কোটি রুপির ধুপকাঠি ও বিভিন্ন রকম আগরবাতি। এর ফলে ভারতে কমে গেছে আগরবাতি বিষয়ক প্রকল্প এবং এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
খাড়ি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা বলেছেন, ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ‘রাউন্ড ব্যাম্বু স্টিকস’ আমদানি গড়ে এক কোটি রুপির কম হয়েছে।
কিন্তু আমদানি শুল্ক কমানোর পর ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২৫০ কোটি রুপি। একইভাবে আগরবাতির কাঁচামাল ভারতে আমদানি ২০০৯ সালে ছিল গড়ে ৩১ কোটি রুপির। কিন্তু ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪৬ কোটি রুপি। ২০১১ সালে আমদানি শুল্ক শতকরা ৩০ ভাগ থেকে কমিয়ে ১০ ভাগ করার পর ২০১৮ সালে আগরবাতির কাঁচামাল আমদানি বেড়ে যায়। আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে খাড়ি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন ভারতীয় কৃষকদের ‘বাম্বুসা তুলদা’ নামের একটি নির্দিষ্ট ধরনের বাঁশ চাষে সহায়তা করবে। এতে একটি গিঁড়া থেকে আরেকটি গিঁড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি। ‘বাম্বু স্টিক’ আগরবাতি তৈরিতে এমন দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি হতে হয়।