বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা একদলীয় বাকশাল গঠন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলো তারাই এখন বিরোধী রাজনীতি ও ভিন্ন মতকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করছে।

আজ রোববার সকালে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির এখন একমাত্র লক্ষ্য নির্বাসিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তি।

আগামীতে আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া সারা দেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের মতপ্রকাশ করার অধিকার নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ও একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন চলবে। ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটিই আমাদের প্রত্যয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী রাজনীতি ও ভিন্ন মতকে সরকার নিশ্চিহ্ন করতে চায়। সে জন্য সব ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ভিন্ন মতকে দমনে সরকার সচেষ্ট।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. জেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শাহ মো: নেসারুল হক প্রমুখ।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version