জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ফের জামিন আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন হাইকোর্ট বেঞ্চে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জামিন আবেদন আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন। আগামী সপ্তাহে এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ফের জামিন আবেদন করা হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।

এর আগে গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন।

ওইদিন আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, সাত বছরের সাজায় জামিন না মঞ্জুর করা অত্যন্ত দুঃখজনক। হাইকোর্ট সাত বছরের সাজার এই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা লজ্জাবোধ করছি। রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। এ কারণে সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে না।

শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে বলেছিলেন, জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে আদালত দেখেন সাজার পরিমাণ। এই মামলায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে। শুধু জরিমানাও হতে পারত। যে আইনে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সেখানে সাজা বৃদ্ধির সুযোগ নেই। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে কারাগারে রয়েছেন। তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। একজন বয়স্ক মহিলা এবং দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। পালিয়ে যাওয়ার অবস্থা তার নেই। আমরা মামলার ম্যারিটে যাচ্ছি না। তাকে জামিন দেয়া হোক। এই আদালতের জামিন দেয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে। আইনের বিধান অনুযায়ী তিনি জামিন পাবেন বলে আশা করি।

গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২০ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে এ মামলার নথি পাঠানো হয়। গত ১৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকেও একই দণ্ড দেন আদালত।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version