বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে তুরস্ক যাবার চেষ্টাকালে চট্টগ্রামে ৭ রোহিঙ্গা যুবক-যুবতিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে নগরীর আকবরশাহ থানাধীন সিডিএ ১ নম্বর সড়ক থেকে ৩ জন এবং নগরীর বার্মা কলোনী থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়।

আটক রোহিঙ্গা হলেন, মিয়ানমারের মংডু এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিজ প্রকাশ আইয়াজ (২১), মো. ইউসুফ (২৩)ও  মো. মুসা (২০)। নূরুল আলম (২১), মাবিয়া খাতুন (২৩), মুন্নি আকতার (১৯) ও ফতিমা আক্তার (২০)।
আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আটক রোহিঙ্গারা মায়ানমারের মংডু থেকে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রবেশের পর উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবারের সাথে বসবাস করে আসছিল। পাসপোর্ট নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় অবস্থিত তুর্কি দূতাবাসে ভিসার জন্য যাচ্ছিলেন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাদের পরিচয় জানতে চায়। কিন্তু কথায় গড়মিল থাকায় তল্লাশির এক পর্যায়ে পাসপোর্টসহ তিন জনকে আটক করা হয়।

একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, মিয়ানমারের মংডুতে তাদের বাড়ি। ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট নিয়ে তুর্কি দূতাবাসে ভিসার জন্য যাচ্ছিলেন।

ওসি জানান, ফেনী এবং নোয়াখালীর দালালদের মাধ্যমে ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে নোয়াখালী থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট সংগ্রহ করে তারা। পাসপোর্টের বিনিময়ে তারা দালালদের পরিশোধ করা হয় মোটা অংকের টাকা। পুলিশ সেই দালালদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে বলে জানান ওসি। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
একইভাবে তুরস্ক যাবার চেষ্টাকালে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার বার্মা কলোনি থেকে ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। একজনের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ওই চারজন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যা¤েপ থাকেন। চট্টগ্রামের বার্মা কলোনিতে এক আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য দিলেও পরে তুরস্ক যাবার চেষ্টার কথা স্বীকার করেন তারা।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version