ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকলেও শনিবার গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের মিটিংয়ে এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কথা প্রসঙ্গে হয়তো কথা আসে। এটা সিদ্ধান্ত আকারে কোনো কথা হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ফোরাম ওটা ছিল না। কাজেই ওখানে একসাথে বসে আমরা অনেক কথাই বলতে পারি, অনেক আলোচনাই করতে পারি। এখানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে, প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু এটা কোন সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি।

শনিবার আমাদের যে মিটিং ছিল সেটা পার্লামেন্টারি বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা। রংপুরের উপ-নির্বাচনসহ ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ, তিনটি পৌরসভা, সাতটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে অক্টোবরে। এজন্যই আমরা বসেছিলাম।

ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি ক্ষুব্ধ- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু ব্যাপারে তো থাকতেই পারে। যেমন- আমাদের ইলেকশনে যারা বিদ্রোহী ছিল, আমাদের মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে, নেতাদের মধ্যে- এ সব ব্যাপারে তো ক্ষোভ প্রকাশ হয়। কাজেই ছাত্রলীগেরও বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু কিছু ব্যাপার আছে, সেগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনসার্ন থাকতেই পারে, এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি জানি না, কারণ ওই ফোরামে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার বিষয় আসেনি।

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর আসা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার জন্য মিটিং হয়নি। কাজেই আমি এ কথাটি কেন এখানে বলব। প্রধানমন্ত্রী কি মিটিংয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে একথা বলেছেন, না বলেননি- কোনটাই আমি বলব না। যতক্ষণ না সিদ্ধান্তটা কার্যকর না হচ্ছে, যতক্ষণ পযর্ন্ত এটা সিদ্ধান্ত আকারে না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত এর সত্যতা আমি স্বীকার করব না।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version