ওসমানীনগরে মা-মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। গত রোববার
মধ্যরাতে উপজেলার লামাইসবপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের শর্টগানের গুলিতে আসামি খোকন মিয়া (২৮) আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এসল্ট মামলা দায়ের করেছে। আহত খোকনকে রাতেই পুলিশ হেফাজতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসামি খোকন বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ধনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বালির ছেলে।

পুলিশ জানায়, খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর বালি উমরপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছে। খোকন পেশায় একজন ট্রাকচালক। গত রোববার খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার পাবলা দফাদার পাড়ায় বসবাসরত এক নারী (৩৪) থানায় এসে অভিযোগ করেন, খোকন খুলনায় অবস্থানকালে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে অনেকদিন ধর্ষণ করে এবং তার সকল টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাকে কৌশলে চাকরির জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে গত ঈদুল আজহার পর তার কিশোরী মেয়ে (১৩)কে ফুসলিয়ে অপহরণ করে।

এরপর তাকে ওসমানীনগরে বাবার ঠিকানায় রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে। মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা এবং অবস্থান জেনে ওই মহিলা ওসমানীনগরে এসে থানায় খোকন মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতে কামালপুর গ্রাম থেকে খোকনকে গ্রেপ্তার করে থানায় ফেরার পথে মধ্যরাতে লামাইসবপুর এলাকায় আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায় খোকনের সহযোগীরা। হামলায় ওসমানীনগর থানার এসআই সাইফুল মোল্লা, এএসআই ইয়াছির আরাফাত চৌধুরী, কনস্টেবল জীবন দেব ও শিমুল মিয়া আহত হন। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে আসামি খোকন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত আসামি খোকনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত এসআই সাইফুল মোল্লা বাদী হয়ে গতকাল খোকন ও তার বাবাসহ ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি এসল্ট মামলা দায়ের করেছেন।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় খোকন এবং তার পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল ভিকটিম মা ও মেয়েকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version