দুর্নীতি ইস্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘দুর্নীতি বিরোধী জাহাঙ্গীরনগর’ব্যানারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ভিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও পদত্যাগের দাবির ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভটি দুপুর একটায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে কলা অনুষদ ভবন পদক্ষিণ করে পুরাতন রেজিস্ট্রারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বিক্ষোভটিতে  স্লোগানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো, মাওলানা ভাসানী কাগমারী সম্মেলনে থেকে যেভাবে পাকিস্তানি শাসকদের ‘ওয়ালাইকুম আসলাম’ জানিয়েছেন, তেমনি জাবিতে আন্দোলনকারীরা স্লোগানে স্লোগানে ভিসির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভিসি তোমায় জানিয়ে দিলাম,ওয়ালাইকুম আসসালাম।’ এছাড়াও একদফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি’ স্লোগানের মাধ্যমে পুরাতন রেজিস্ট্রারের সামনে একটি গণজমায়েত ও সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আশিকুর রহমান জানান, ‘অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ ক্যালেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরে ভিসি পদে থাকার নৈতিক অধিকার তার নেই। তাকে ১ অক্টোবরের মধ্যে তাকে সসম্মানে পদত্যাগ করতে হবে।অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভিসি বাসায় বসে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবেন। এরই মধ্যে আমাদের কর্মসূচি চলবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে সকল পরীক্ষাকেন্দ্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘ভিসি যাদেরকে টাকা দিয়েছেন তারাই যখন মিড়িয়ার সামনে স্বীকার করছে যে, আমরা পচিঁশ লাখ টাকা পেয়েছি, তখন ভিসি যে দুর্নীতি করেছে তার প্রমাণ হয়ে যায়। আমরা চা্ই এর সুষ্ঠু তদন্ত। বার বার ভিসি বলে থাকেন আমি সর্বোচ্চ দায়িত্বে থেকে কিভাবে নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করি। আমরা তার কথার আলোকেই বলতে চাই আপনি আগে পদ থেকে সরে দাঁড়ান, তারপর তদন্ত হোক।তদন্তে আপনি যদি নির্দোষ হন, তখন আপনাকে আবার দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনবোধে আমরা আন্দোলন করবো। আর যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয় তাহলে ভিসি পদ হারানোর সাথে সাথে আপনাকে রাষ্ট্রীয় আইনে সাজা পেতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন,‘মিড়িয়ার সামনে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম,তাজ যখন টাকা পাওয়ার কথা স্বীকারই করেছে, তখন আপনাকে পদত্যাগ করতেই হবে, হয় আপনি ১ অক্টোবরের মধ্যে সসম্মানে পদত্যাগ করবেন অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করবে বাধ্য করা হবে।’

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version