পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করলেন যে, আল-কায়দাসহ আফগানিস্তানে সক্রিয় বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে  প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তান ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আল-কায়দার হামলার পর তাদের সমর্থন দেয়া থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ইসলামাবাদ তাদের দমনেই কাজ করে গেছে। এ খবর দিয়েছে রাশিয়ান টাইমস।

আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্রের তত্বাবধানে জিহাদি গোষ্ঠিকে প্রশিক্ষণ দেয় পাকিস্তান। বিষয়টি এতদিন ওপেন সেক্রেটের মত থাকলেও পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী বা শীর্ষস্থানীয় কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি স্বীকার করেননি। অবশেষে সোমবার নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র বিষয়ক এক বৈঠকে বিষয়টি স্বীকার করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার পরেও পাকিস্তান সেনাবাহিনী আল-কায়দার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। তবে ৯/১১ তে হামলার পর এ অবস্থান থেকে সরে আসে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেকেই বিষয়টি পছন্দ করেননি বলেও জানান খান।

ওই বৈঠকে তিনি আরো দাবি করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দেয়া ছিলো পাকিস্তানের সবথেকে বড় ভুলগুলোর একটি। তিনি বলেন, এর ফলে পাকিস্তানের ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ১৫০ থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আবার একইসঙ্গে আফগানিস্তানে জঙ্গি দমনে ব্যর্থ হওয়ার দায়ও আমাদের নিতে হয়েছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version