ক্যাসিনো–বাণিজ্যের টাকার ভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পান—এমন অভিযোগের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন করেছেন, সরকার বসে বসে আঙুল চুষত কি না।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্রমিক দলের এক মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ক্যাসিনো, জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ, র‍্যাব অভিযান চালাচ্ছে। এসব অভিযানে সরকারদলীয় অনেকের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ এসেছে, জি কে শামীম প্রতি মাসে এক কোটি টাকা করে তারেক রহমানকে দিতেন। বিএনপির অনেক নেতাকেও তিনি পয়সা দিতেন। অর্থাৎ এই যে ক্যাসিনো কালচার যারা শুরু করেছিল, তারাও নিয়মিত মাসোহারা পেত।’

এমন অভিযোগের জবাবে আজ নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা ক্যাসিনোর টাকা যদি তারেক রহমানকে পাঠাতেনই, তাহলে সরকার তখন কী করত? সরকার কি বসে বসে আঙুল চোষে?’

নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে ক্যাসিনো সংস্কৃতি দূর করতে এবং লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য। তবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার তা করতে পারবে না। কারণ, অনাচার বাড়লে সরকারদলীয় নেতারা লাভবান হবেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংকট থেকে মুক্তির জন্য সরকার পরিবর্তন দরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার।

পর্যটন এলাকাগুলোতে বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনো থাকবে—পর্যটনসচিবের এ বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, বিদেশিদের জন্য চালু হলে সেখানে এ দেশের কেউ যাবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কার্যকরী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version