রেনিটিডিন ওষুধের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর । আজ রোববার অধিদপ্তর এই ওষুধ সম্পর্কিত সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রেনিটিডিনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিদেশে একাধিক গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওধুষ প্রশাসন রেনিটিডিনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বড় কোম্পানিই এই ওষুধ তৈরি করে।

কানাডা ও ফ্রান্স বাজার থেকে রেনিটিডিন উঠেছে নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষদ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) ১৩ সেপ্টেম্বর একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়, রেনিটিডিন ওষুধে এন-নাইট্রোসোডিয়ামেথাইলামাইনের (এনডিএমএ) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনডিএমএ প্রাণিদেহে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

এই গবেষণার পরে বিশ্বব্যাপি রেনিটিডিনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা ও ফ্রান্স তাদের বাজার থেকে রেনিটিডিন উঠিয়ে নিয়েছে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় ওষুধ খুচরো বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিভিএস ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই ওধুষ আর বিক্রি করবে না।

রেনিটিডিনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেনিটিডিনে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তবে যারা এই ওষুধ নিচ্ছেন, তারা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন।

ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানাচ্ছে, এনডিএমএ নামের উপাদানটি পানি ও খাদ্যে পাওয়া যায়। বিশেষত মাংস, দুগ্ধজাত ও শাকসবজিতে এই উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। তবে সীমিত মাত্রায় এনডিএমএ শরীরে ঢুকলে সেটা কোনো ক্ষতি করে না।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version