নতুন ব্রেক্সিট চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বৃটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ এক সম্মেলনের আগ দিয়ে এমনটা জানান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি টুইটে বলেন, আমরা এক অসাধারণ চুক্তিতে পৌঁছেছি। তিনি আরো জানান। এই চুক্তির মাধ্যমে পার্লামেন্টে নিয়ন্ত্রণ ফেরানো যাবে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি করতে তীব্র আলোচনা চলেছে বৃটেন ও ইইউ’র মধ্যে। অবশেষে বৃহ¯পতিবার চুক্তিটির চূড়ান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে, আলোচনাকারীরা চুক্তি নিশ্চিত হওয়া যথেষ্ট নয়।
১৯ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তিটি নিয়ে ভোট হবে বৃটিশ ও ইইউ পার্লামেন্টে। উভয় পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস হলে তবেই এর শর্ত মেনে ব্রেক্সিট কার্যকরের দিকে আগাবে দুই পক্ষ। অন্যথায়, গত মাসে বৃটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া ‘বেন এক্ট’ অনুসারে, ইইউ’র কাছে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর অনুরোধ করে চিঠি লিখতে বাধ্য হবেন জনসন।
এদিকে, জনসনের চুক্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বৃটেনের বিরোধী দলগুলো। পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই জনসন নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির। চুক্তি পাস করতে হলে নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) এর সমর্থন লাগবে তাদের। তবে ডিইউপি নতুন চুক্তিটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছে, তারা চুক্তিটি সমর্থন করবে না। জনসন নতুন চুক্তির ঘোষণা দেয়া আগ দিয়ে এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনসনের প্রস্তাব সমর্থন করবে না তারা। পরবর্তীতে জনসনের ঘোষণার পরও নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার কথা জানিয়েছে তারা। বৃটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন জানান, নতুন চুক্তিটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র প্রস্তাবিত চুক্তির চেয়েও মন্দ। এমপিদের উচিৎ এটা প্রত্যাখ্যান করা।