ফ্রান্সের একটি ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ‍তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সম্প্রতি ম্যাগাজিনটি উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠির বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং এরদোগানকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ‘নিধনকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদে এরদোগানের ছবি দিয়ে পাশে লেখা হয়েছে ‘দ্যা এরাডিকেটর’।

এরপরই এরদোগান তুরস্কের কৌশুলীকে নির্দেশ দেন ‘লা পয়েন্ট ম্যাগাজিনের’ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে। ম্যাগাজিনটির সম্পাদক এতিয়েন গার্নেল ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও এরদোগানাকে নিয়ে করা রিপোর্টের লেখক রোমেইন গুবার্টকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।

উত্তর সিরিয়ার তুর্কি সীমান্তবর্তী এলাকায় কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছে তুর্কি সেনারা। কুর্দি ওয়াইপিজি প্রায়ই তুরস্কের সীমান্তের অভ্যান্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। যে কারণে নিজেদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন আপোস করতে চায়নি এরদোগান সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ সিরিয়ার মাটিতে অবস্থানকারী সবগুলো শক্তিকে রাজি করিয়েই করেই তারা কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। একই সাথে তুরস্ক চাইছে- ওই অঞ্চলটি নিরাপদ করে সেখানে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরীয় উদ্বাস্তুদের ফেরত পাঠাতে।

কিন্তু সেই অভিযানকেই সাধারণ কুর্দিদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্সের ওই ম্যাগাজিনটি। এবং একই সাথে এরদোগানকে ‘নিধনকারী’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদে সামরিক কায়দায় স্যালুট দেয়া এরদোগানের একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। পাশে লেখা ‘এরদোগান স্টাইলে জাতিগত নিধন’।

এরদোগানের আইনজীবী হুসেইন আয়দিন বলেন, ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদটি যেভাবে করা হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্টকে সরাসরি অপমান
করা হয়েছে। তুরস্কের আইনে এ ধরনের অপরাধের জন্য ৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যাচ্ছে কুর্দি যোদ্ধারা

তুরস্কের সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছে কুর্দি যোদ্ধারা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে কুর্দিদের এক সিনিয়র নেতা আলজাজিরাকে জানিয়েছেন। ৫ দিনের এই যুদ্ধবিরতিকালীন সময়ে সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় একটি শহর থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে তুরস্ক। অভিযান শুরুর পর থেকে শহরটি ঘিরে রেখেছে তুর্কি সৈন্যরা।

রেদুর খলিল নামের কুর্দিপন্থী সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের ওই নেতা বলেন, রোববার তারা আল আল আইন শহরটি থেকে সরিয়ে নেবেন তাদের যোদ্ধাদের। তিনি জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যাবে। এর মাধ্যমে এই প্রথম তুরস্কের সীমান্ত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলো কুর্দিপন্থী সংগঠনটি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version