বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেয়ারবাজার, ব্যাংক-বীমা লুটপাটের পর জুয়া, ক্যাসিনোর মাধ্যমে দেশের বাইরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে সরকারি দলের নেতারা। নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে চুনোপুটি লুটপাটকারীদের ধরা হচ্ছে। শুদ্ধি অভিযান শুদ্ধভাবে চালানো হলে অনেক রাঘববোয়াল ধরা পড়বে। বর্তমান যে অভিযান চলছে তা আইওয়াশ মাত্র। ছোট সম্রাটদের ধরে বড় বড় সম্রাটদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

তিনি আজ রোববার বগুড়া শহরের নবাববাড়ী রোডে জেলা যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে ভোট ডাকাত, ভোট চোর সরকার তাড়াতে হবে। সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথ দখলে নিতে হবে। এ জন্য ডু অর ডাই নীতিতে অটল থাকতে হবে। সে জন্য ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিন। কারণ আমরা চুপ থাকলে জনগণ একসময় মুখ ফিরিয়ে নেবে।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার অপর নাম গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র আজ কারাগারে বন্দি। খুনী, ডাকাত, সন্ত্রাসীসহ সব ধরনের অপরাধীরা জামিন পেলেও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এতে প্রমাণ হয় দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগও স্বাধীন নয়। বিচারপতিরা চাকরির ভয়ে আইন অনুযায়ী বিচারকাজ করতে পারছেন না। কারণ প্রধান বিচারপতিও দেশ ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। তাই দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য রাজপথের বিকল্প নেই।

সমাবেশের প্রধান বক্তা বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম মো: সিরাজ বলেন, সরকার পাগল হয়ে গেছে। তারা এতই লুটপাট করেছে যে, আজ সে সম্পদ নিয়ে টালমাটাল অবস্থা।

তিনি বলেন, যুবদলের জন্মদিনে সকলের শপথ হোক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুরর রহমান ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা এম আর ইসলাম স্বাধীন, কেএম খায়রুল বাশার, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, তৌহিদুল আলম মামুন, মাজেদুর রহমান জুয়েল, জাহাঙ্গীর আলম, নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ।

বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি যুবদলের জন্মদিনের একটি বড় কেক কাটেন। তবে কেকটি নিজেরা না খেয়ে স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়েছে।

সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সমাবেশের অদূরে রায়ট কার ও জলকামান সতর্ক অবস্থানে রাখে পুলিশ। তবে সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পাশের ফতেহ আলী বাজারের প্রধান গেটে একটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। এসময় সমাবেশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version