চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষে (চবি) বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন তারা। মেধাতালিকায় নামও এসেছে। কিন্তু ফল প্রকাশের ২দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানালো তারা ভর্তি হতে পারবেনা। এর প্রতিবাদে ও ভর্তির দাবিতে আজ শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন। একই দাবিতে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর দরখাস্তও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি নির্দেশিকায় বলা হয়, গত বছর যাদের ভর্তি আবেদনের নির্ধারিত যোগ্যতা ছিল না এবং ২০১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (মানোন্নয়ন) অংশগ্রহণ করে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করে শুধুমাত্র তারাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু অনলাইন আবেদনজনিত ত্রুটির কারনে গতবছর অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরাও এবার আবেদনের সুযোগ পাওয়ায় এ বিপত্তি দেখা দেয়। যার ফলে আবেদন অযোগ্য প্রায় ১২হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ২শতাধিক উত্তীর্ণ হয়।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন হৃদয় বলেন, সার্কুলারে স্পষ্টভাবে বিষয়টা ছিল না। আমরা যখন আবেদন করলাম তখন আমাদের যোগ্য বলা হল, এডমিট কার্ডও দিল, পরীক্ষায় অংশ নিতে দিল, রেজাল্টও দিল আমাদের কিন্তু এখন বলছে ভর্তি হতে দিবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী জানান, ওরা আমার কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছে।

তাদেরকে বলে দিয়েছি যে তারা প্রত্যেকে যাতে আগামীকাল অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের দরখাস্তসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রক্টর অফিসে জমা দেয়।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিকাঈল জানান, আমাদেরকে প্রক্টর স্যার আগামীকাল এবং যারা দূরের আসতে সময় লাগবে তারা পরশুর মধ্যে আমাদের ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশীটের ফটোকপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডের ফটোকপি এবং আজকের দরখাস্তটি প্রক্টর অফিসে জমা দিতে বলেছেন।

আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু এখনও কোনো আশ্বাস পাইনি তাই আমরা প্রশাসন থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version