নিহত আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর পরপরই একে একে তার পরিবারের সদস্যদের আটকের দাবি করছে তুরস্ক। তার বড় বোনের পরিবারকে আটকের খবর প্রকাশিত হওয়ার দুই দিনের মাথায় তার স্ত্রীকেও আটকের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। বুধবার রাজধানী আংকারায় দেয়া এক ঘোষণায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান এক ঘোষণায় তাদের আটক করার কথা জানান। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাকে ‘যোগাযোগ প্রচারণা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাগদাদি এক সুরঙ্গের ভেতর আত্মহত্যা করেছে। আমি আজ এই প্রথমবারের মতো ঘোষণা দিচ্ছি: আমরা তার স্ত্রীকে আটক করেছি, কিন্তু তাদের মতো হইচই করিনি। একইভাবে, আমরা তার বোন ও দুলাভাইকেও আটক করেছি সিরিয়ায়।’
এরদোগান তার ঘোষণায় আটককৃতদের নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। গার্ডিয়ান জানায়, ঠিক কখন বা কিভাবে তুর্কি নিরাপত্তাবাহিনী বাগদাদির স্ত্রীকে আটক করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

এর আগে, চলতি সপ্তাহের সোমবার তুর্কি কর্মকর্তারা বাগদাদির বড় বোনসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করার ঘোষণা দেয়। বলেন, সোমবার আলেপ্পো থেকে বাগদাদির বড় বোন রাসমিয়া আওয়াদ, দুলাভাই, পুত্রবধূ ও পাঁচ শিশুকে আটক করেছে তুরস্ক। তবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের কোনো দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষের দিকে সিরিয়ার ইদলিবে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন এক হামলার সময় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মহত্যা করেন বাগদাদি। ইরাকে তার এক আত্মীয় মোহাম্মদ আলি সাজিদ আটক রয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, ২০১৮ সালে বাগদাদির সঙ্গে দেখা হয় তার। সেসময় চার জন স্ত্রী ছিল বাগদাদির।
গার্ডিয়ান জানায়, বাগদাদির স্ত্রীদের মধ্যে একজনের নাম নুর। তিনি ইরাকী নাগরিক ও বাগদাদির এক সহযোগীর মেয়ে। এছাড়া, ধারণা করা হয় এক জার্মান কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন বাগদাদি। তবে ২০১৬ সালে ওই কিশোরী তার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে খবর বেরোয়। তার প্রাক্তন স্ত্রী সাজা আল-দুলাইমিও ২০০৯ সালে গর্ভবতী থাকাকালীন অবস্থায় তাকে ছেড়ে চলে যান। দুলাইমিও ইরাকী নাগরিক ছিলেন। ২০১৪ সালে লেবাননে গ্রেপ্তার হন তিনি। এক বছর পর আল-কায়েদারর সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে মুক্ত করে দেয়া হয়।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version