ইরাকে দুই শহরে ১১ সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এর মধ্যে বাগদাদে ছয় জন ও বাসরায় পাঁচ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, বাগদাদের শুহাদা সেতুর নিকটে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরো ৩৫ বিক্ষোভকারী। বৃহস্পতিবার এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, গত মাসের শুরুর দিকে থেকে ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে মাসের মধ্যখানে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি। তবে তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে সাময়িক বিরতির পর ফের বিক্ষোভে নামে জনগণ। বিগত ১৩ দিন ধরে রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ জারি রেখেছে হাজার হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার শুহাদা সেতুর নিকটে দুটি ব্যারিয়ার সরানোর চেষ্টা করছিল বিক্ষোভকারীরা।
এই সেতুর মাধ্যমেই টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীর ও ইরাকের বিশেষ নিরাপত্তাসম্বলিত অঞ্চল ‘গ্রিন জোন’ সংযুক্ত। গ্রিন জোনেই বেশিরভাগ সরকারি কার্যালয় ও বৈদেশিক সরকারগুলোর দূতাবাস অবস্থিত। বিক্ষোভকারীরা গত কয়েকদিন ধরেই অঞ্চলটিতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার তেমন এক চেষ্টার সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, বাসরায়ও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। ওই শহরটি ইরাকের প্রধান তেল উৎপাদনের উৎসস্থল। সেখানে কয়েকদিন ধরে ধর্মঘট করছিল বিক্ষোভকারীরা। ধর্মঘটের সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এছাড়া, উম কাসর বন্দরসহ অন্যান্য জায়গায় বিক্ষোভ করেছে বহু মানুষ।
এখন পর্যন্ত এই বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ২৬০ জনের বেশি বেসামরিক