আজ সোমবার কাতার সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। সরকারি এ সফরে তিনি আঞ্চলিক ইস্যু ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন কুয়েতের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি’র সঙ্গে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, আঙ্কারা এবং দোহা ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক মিত্র।

পরীক্ষামুলক সময়ে তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সুদৃঢ় বন্ধন। এর ফলে দুটি দেশের নেতারা শক্তিশালী ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছেন। সিরিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিনি মানুষের দুর্ভোগ, মিশরে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো সাম্প্রতিক ইস্যুতে কয়েক বছরে আঞ্চলিক পররাষ্ট্রনীতিতে চোখে চোখ রেখে কথা বলেছে এই দুটি দেশের সরকার। উভয় পক্ষের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কও বলিষ্ঠ। বিশেষ করে এ সম্পর্ক আরো জোরালো হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে।

ওই সময় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। ছিন্ন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক। মিশরে যখন ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে শত শত মানুষ নিহত হন তখন বিশ্বনেতাদের মধ্যে প্রথম কাতারের আমীর ফোন করেন এরদোগানকে এবং তার সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সেনাবাহিনীর অভিযানে সমর্থন দিয়ে বিবৃতি দেয় কাতার। ওই অভিযানে তুরস্ক কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়। তাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে সরিয়ে দেয় সীমান্ত এলাকা থেকে।

আঞ্চলিক পররাষ্ট্রনীতির পার্থক্যের কারণে গত কয়েকটি বছরে মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। বিশেষ করে সিরিয়া, মিশর ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়েছে। এসব ইস্যুতে আঙ্কারা ও দোহা একই রকম নীতি অনুসরণ করে। আঙ্কারায় সৌদি আরবের কনসুলেটের ভিতর সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে এ ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক টান টান।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version