আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্যদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেছেন, এবারের সম্মেলনে সর্বকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি থাকবে। তিনি আরো বলেন, ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলকে নতুনভাবে সাজাতে চান। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা কাজ করবে।
ওবায়দুল কাদের আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের জন্য তৈরি মঞ্চ আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরিদর্শন করবেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিধি ঠিক থাকবে। ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কাউন্সিলের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমরা প্রস্তুত। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সম্মেলনে বিদেশী কোনো অতিথিকে দাওয়াত দেয়া হবে না। তবে বাংলাদেশে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দাওয়াত দেয়া হবে। মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে বিদেশী অতিথিদের দাওয়াত দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের সংসদে যে আইন পাস হয়েছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। কোনো বিষয়ে আমাদের সঙ্গে ভারতের সমস্যা হলে তা আলোচনা করে সমাধান করবো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঞ্চালনায় সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তব্য রাখেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version