নারী নির্যাতন ও লোমহর্ষক ধর্ষণ ঠেকাতে একটি কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ কমিশন গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারিসহ এ আদেশ দেন।

আদালত আদেশে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটিতে আইনজীবী, বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, চিকিৎসক এবং ভিকটিমকে (যদি কোনো ভিকটিম রাজি থাকেন) রাখতে বলেছে।

একইসঙ্গে কমিশনকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি ১৬ বছরের নিচে কেউ ধর্ষণের শিকার হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় কারও মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজার যে বিধান রয়েছে সেখান থেকে যাবজ্জীবন উঠিয়ে দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

এছাড়া ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য ডাটাবেজ তৈরি, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমদের সুরক্ষা দেয়া, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন, সব ধরনের ধর্ষণের অপরাধের জন্য পৃথক একটি আদালত গঠন এবং সে আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করে এর জবাব দিতে বলেছে আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত সপ্তাহে ধর্ষণের জন্য পৃথক পৃথক নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন। সূত্র : ইউএনবি

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version