আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে এসে বিএনপি সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করেছিলো। এবারো তারা নির্বাচনে এসে বলেছে, নির্বাচনে আংশ নেয়া তাদের আন্দোলনের অংশ। বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে মানুষ জানে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বানচাল করতে ৫শ’ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেককে হত্যা করেছিলো। ভোটারকে হত্যা করেছিলো। সুতরাং তারা যখন ঘোষণা দেয়, এই নির্বাচন আন্দোলনের অংশ তখন মানুষ হামলার আশঙ্কার কারণে ভোটকেন্দ্রে যায় নি। সেই ভয়টি এবারও ভোটারদের মাঝে ছিলো।
আজ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা সিটি নিবার্চন ভাল হয়েছে। উপমহাদেশের মানদন্ডে বিচার করলেও বলতে হবে এটি একটি ভাল নির্বাচন হয়েছে। আমরা অতীতে দেখেছি, যখনই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তখনই হাঙ্গামা হয়। লোক ক্ষয় হয়। কেন্দ্র দখল, সিল মারা হয়। এই নির্বাচনে কোন সিলমারা হয়নি। হাঙ্গামা হয়নি। লোক ক্ষয় হয়নি। ৫৫ লাখ ভোটারের নির্বাচন করেও এত শান্তিপূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতনিধি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, ড. মেরিনা জাহান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদস সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী অঞ্চলের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ।