রাজশাহীর সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের জ্যাকেট পরে পুলিশ সেজে ছিনতাইয়ের সময় চারজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ও একটি পুলিশের জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর দুপুরেই আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ পরিচয়ে আটক চার ছিনতাইকারী হলো- নগরীর কাটাখালি থানার সুচারণ এলাকার আবদুল মতিনের ছেলে রুহুল আমিন (২০), একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে সাগর হোসেন (২২), মোকবুল হোসেনের ছেলে নিলয় (২০) এবং রূপসিডাঙ্গা এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে প্রাবণ হোসেন (২০)।
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার। ওই দিন সন্ধ্যায় শহর থেকে চার বন্ধুকে নিয়ে এক যুবক কাটাখালির সুচারণ এলাকায় যান। সেখানে তার খালার বাড়ি রয়েছে। খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েই স্থানীয় রুহুল আমিনের সঙ্গে ওই পাঁচ যুবকের পরিচয় হয়।
পরে তারা খেজুরের রস পান করার উদ্দেশ্যে রুহুলের সঙ্গেই পাশের এক বাগানে যান। কিন্তু রস পানের সময় নিলয়, শ্রাবণ ও সাগর সেখানে গিয়ে হাজির হন।
তাদের মধ্যে একজন পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত ছিলেন। ওই চারজন নিজেদের পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর ওই পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে রস পানের অভিযোগ এনে তাদের আটক করেন। এ সময় প্রত্যেকের হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আটকের সময় ওই পাঁচ যুবক জানতে চান ওই পুলিশ সদস্যরা মহানগরীর কোন থানার। এতে পুলিশ পরিচয় দেয়া চার ছিনতাইকারী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তাদের মারধর করেন।
এরপর ‘স্যার’কে ডাকা এবং পিকআপ আনার কথা বলে রুহুল ছাড়া অন্য তিন ছিনতাইকারী সটকে পড়েন। এ সময় ওই পাঁচ যুবকের সন্দেহ হয় যে তারা পুলিশ নয়। পরে তারা পুলিশ কিনা তা নিশ্চিত হতে রুহুলকে ধরে ফেলেন এবং কাটাখালি থানায় নিয়ে যান। এ সময় সত্যতা বেড়িয়ে আসে।
ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুহুল স্বীকার করে যে তারা পুলিশ নয়, ছিনতাইকারী। পরে রুহুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক এক করে অন্য তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশ।
এ সময় ছিনতাই করা পাঁচটি মোবাইল ও পুলিশের একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পাঁচজনের একজন মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার দুপুরে ওই মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।