জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৭ লাখ
টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব নুরুল আমিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বানেশ্বর (রাজশাহী)-সারদা-চারঘাট-বাঘা-লালপুর (নাটোর)-ঈশ্বরদী (পাবনা) (আর-৬০৬) জেলা মহাসড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কের মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প ও ‘সৈদয়পুর-নীলফামারী মহাসড়ক (আর-৫৭০) প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘হবিগঞ্জ জেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের সম্মুখে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের প্রতিরক্ষা’ প্রকল্প, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘তেজগাঁও-এ বিসিকের বহুতল ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘বিসিকের ৮টি শিল্পনগরী মেরামত ও পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি উন্নয়ন’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিসি সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্প।
একনেকে সভায় মোট ১০টি প্রকল্প উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হলেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের গ্রাম পর্যায়ে টেলিটক নেটওয়ার্ক সমপ্রসারণ, ট্রানজিট সেবা প্রদান ও এর আধুনিকায়ন সংক্রান্ত প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়নি। এই প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে পুনরায় একনেক সভায় নিয়ে আসতে বলেছেন। সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব মো. নূরুল আমিন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, টেলিটকের কার্যক্রম আরো দক্ষতার সঙ্গে যেন করে এবং এই প্রকল্পের আওতায় কোথায় কোথায় টাওয়ার বসবে, সেগুলো আরো যাচাই করার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তৃতীয় পক্ষ দিয়ে এই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বলেছেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version