চীনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে। তবে সহসাই তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি মেডিকেল বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার এতে মারা গেছেন ৯৭ জন। এরই মধ্যে এই ভাইরাসের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘কোভিড-১৯’। এতে মারা গেছেন মোট ১১১৩ জন মানুষ। এর মধ্যে দু’জন বাদে সবাই চীনে মারা গেছেন। চীনের মেডিকেল বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা ঝোং নানশান বলেছেন, কিছু কিছু প্রদেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। তবে এ মাসে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে এই মহামারি।

মঙ্গলবার তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমি আশা করি এই মহামারি বা ইভেন্টের ইতি ঘটবে এপ্রিলের দিকে। চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের মতে, মোট এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৬৫৩। ১১ই ফেব্রুয়ারি বা মঙ্গলবার এতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০১৫ জন।

এসব রোগিসহ ওই সংখ্যা। ৩০ শে জানুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছিল মঙ্গলবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা তার মধ্যে সর্বনিম্ন। মঙ্গলবার চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৭ জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১৩। চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতা দিয়েছে। তারা একে সন্ত্রাসের চেয়েও বিশ্বের জন্য অতি খারাপ হুমকি হিসেবে সতর্কবাণী দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানোম ঘেব্রেয়েসাস মঙ্গলবার বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই এই শত্রু ভাইরাসের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে এবং একে জনগণের এক নম্বর শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তিনি এ সময় দাবি করেন, এ ভাইরাসের টিকা আসতে এখনও প্রায় দেড় বছর সময় লাগবে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version