কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ
অর্সিলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমানের উপর গত সোমবার সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার ঘটনা ঘটেছে ওই বিদ্যুত কেন্দ্রের ভেতরে ।
জানা যায়, দাউদকান্দির গৌরিপুরে অবস্থিত ( তিতাস ৫০ মেঃ ওয়াঃ বিদ্যুত কেন্দ্র) বিদ্যুতকেন্দ্র অর্সিলা বাংলাদেশ লিমিটেডে সিনিয়র মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরী করে মাহবুবুর রহমান। সেখানে তিনি পাওয়ার সলিউশন কোম্পানী লিমিটিড ওয়েবার এবং সরকারী বিদ্যুত কেন্দ্র পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) এর সাথে সমন্বয় করে কাজ করতো।
গত ডিসেম্বরে পিডিবি ১২টি ইঞ্জিনের ১২ হাজার রানিং ঘন্টা সিডিউল মেইন্টেনেন্স এর জন্য যন্ত্রাংশ (স্পেয়ার পার্টস) কেনার বাজেট দেয় ওয়েবারকে। পরে যন্ত্রাংশ যখন ডেলিভারী হয় তখন তিনি দেখেন মাত্র ৪টি ইঞ্জিনের মালামাল এসেছে। সে সময় ওয়েবারের জেনারেল ম্যানেজার তারেক, পিডিবির এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আমান এবং পিডিবির শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা অর্সিলার ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমানকে ওই যন্ত্রাংশ গ্রহণ করতে চাপ দিতে থাকে। এছাড়া তারা মাহবুবকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আর তাতেই ক্ষেপে যায় তারা। সেসময় তারা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবকে ভয় ভীতি দেখায় যাতে সে স্বাক্ষর করে। কিন্তু তাতেও সে রাজি না হওয়ায় বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে তাকে ভয়- ভীতি দেখাতে থাকে।
ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব জানায়, বাহিরাগত ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রসহ ব্যক্তি অফিসে প্রবশে করে ইঞ্জিনিয়ার তার উপর মারধর শুরু করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ফেলে মারতে থাকে। সন্ত্রাসীরা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবকে মেঝেতে ফেলে ম্যানেজারের রুমে যায় এবং তাকেও সেখানে লাঞ্জিত করে। তখন জাকির ভাই ও হেলাল স্যার এসে পরিবেশ সামাল দেয় এবং তারাও লাঞ্জিত হয়।
ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর তারা চলে যায় এবং ম্যানেজার সমস্ত মালামালের ভিডিও করে সাথে সাথে অফিস ত্যাগ করে। তারা কিছুক্ষন পরই আবার আসে আরো অস্ত্র ও সন্ত্রাসী নিয়ে। অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে করতে তারা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবকে এবং ম্যানেজারকে খুঁজতে থাকে। তখন আমাদের অফিসের ড্রাইভার আমাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করায়।