কেবল রাজনৈতিক কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, আইনে আছে যদি কোনো আসামি নারী হন এবং তিনি যদি অসুস্থ ও বয়স্ক হন তাকে জামিন দিতে হবে। আজকে আদালত মানবিক কারণেও তাকে মুক্তি দিতে রাজি নন। তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ। কারাবন্দির ২ বছরে তার শরীরের আর কিছু বাকি নেই। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) আদালতকে স্মরণ করিয়ে দিলাম- যদি কোন অঘটন ঘটে এর বিচার করবে কে? এর দায়িত্ব কে নেবে? সরকারকেই নিতে হবে এই দায়িত্ব। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বেগম জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক কারণেই তার জামিন হচ্ছে না। আজকে এটা বুঝতে কারো বাকি নাই। সকলেই এটা বুঝে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে কোন রাজনীতি নাই। যে রাজনীতি আছে সেটা অপরাজনীতি। এই রাজনীতি হলো একদলীয় রাজনীতি। আর এ কারণে এদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন হচ্ছে না। আজকে এজন্যই সরকার জনগণ ও সাধারণ মানুষ থেকে তারা সত্যিকার অর্থে বিচ্ছিন্ন। আজকে দেশে যেমন রাজনীতি নাই, দেশে গণতন্ত্র নাই। আর দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না তখন দেশের আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না। আজকে মানুষের মধ্যে সর্বত্র ভয়-ভীতি একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ মুক্ত মনে কথা বলতে চায় না, কথা বলতে পারে না।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করতে ছাত্রদল-যুবদলকে আরো সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন যদি না হয় আন্দোলন ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্প নাই। এই আন্দোলন শুধু মুখে বললেই চলবে না এটা কার্যকর করতে হবে। একেবারে এমন কর্মসূচি দিতে হবে যে কর্মসূচি আমরা দৃঢ়ভাবে পালন করতে পারব।
সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া মো: আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।