এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : কারারুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হঠাত্ অসুস্থতার সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার উন্নত চিকিত্সার জন্য দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিত্সার জন্য বিদেশে পাঠানোরও দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনকে যে পরিবেশে রাখা হয়েছে, তাতে তার স্বাস্থ্যের আরো অবনতির আশঙ্কা করছেন তিনি। তিনি (খালেদা জিয়া) আগে যে চিকিত্সাগুলো নিয়েছেন, তা বিদেশে নিয়েছেন। তার ফলোআপ করাটা জরুরি।

শুক্রবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান। তবে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুপুরের মধ্যেই এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছেন। কারামুক্তির পর দেশনেত্রী দেশে নাকি বিদেশে চিকিত্সা করাবেন— সে বিষয়ে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন। রিজভী বলেন, অনলাইনে মহাসচিবের এই বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে কারা অধিদপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এশিয়ান বাংলাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। অন্যান্য দিনের মতোই খাবার খেয়েছেন। একজন কারা চিকিত্সক তাকে দেখভাল করছেন।’ তাকে চিকিত্সার জন্য বিদেশ পাঠাতে কেউ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেননি।

এ দিকে, মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিত্সার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন, বেগম জিয়া চিকিত্সার জন্য আমাদের স্পষ্ট প্রস্তাব রয়েছে।

তার ব্যক্তিগত চিকিত্সক যারা রয়েছেন, তাদের দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিত্সকদের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা হচ্ছে, যেটা তার প্রাপ্য তাকে জামিনে মুক্তি দিয়ে চিকিত্সার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজা হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন বিকাল থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে রয়েছেন তিনি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version