আমারদেশ লাইভ এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি চাকরিতে বর্তমান কোটা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হয়। বিকেলে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটা প্রসঙ্গটি মন্ত্রিসভার আলোচ্য সূচিতে ছিল না। একজন মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা তোলার পর অনির্ধারিত আলোচনা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় স্থায়ী স্টেকহোল্ডার হিসেবে কোটার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টি জানাবে। গত তিনটি বিসিএস থেকে কোটার শূন্যপদে মেধাবীদের নিয়োগের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা গত তিন বিসিএসের জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধা বা অন্য কোটাগুলো পূরণ করা সম্ভব না হলে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারীদের নিয়ে তা পূরণ করা হবে। সেটিই করা হয়েছে।

সচিব জানান, ৩৩তম বিসিএসে মেধা কোটায় পূর্ণ হয়েছে ৭৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া ৩৫তম বিসিএসে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ৩৬তম বিসিএসে ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ মেধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন। মেধাবীরা কোটার কারণে খুব বেশি বঞ্চিত হননি। তার নমুনা তিনটি বিসিএসের নিয়োগ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটার ক্ষেত্রেও যারা মেধাতালিকায় ভালো, তারাই আসছেন। কোটার কারণে কারও মেধার ক্ষতি হবে না। পদ পাওয়া না গেলে মেধা তালিকার শীর্ষে যারা রয়েছেন, তাদের দিয়ে পূরণ করা হবে। এটাই একটা সংস্কার।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, কোটার মাধ্যমে কেউই অবহেলিত হননি বা হচ্ছেন না। যেমন- নারী কোটায় যারা থাকবেন, তাদের মধ্যে যারা মেধায় এগিয়ে, তারাই নিয়োগ পাবেন। কোটায় পূরণ না হলে মেধায় যারা এগিয়ে থাকবেন, তাদের মধ্য থেকে নেওয়া হবে। এটাই একটি সংস্কার।

সচিব আরও বলেন, শুধু মেধায় নিয়োগ দিলে অনগ্রসর জেলার প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন। তখন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পাওয়া যাবে না। গত মন্ত্রিসভায় যে সংশোধনী আনা হয়েছে তাতে মেধাবীরা অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।

কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা দিলেও সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদের ক্ষেত্রে কোনো কোটা পূরণ না হলে অন্যান্য কোটা দিয়ে পূরণ করতে হবে। এ জন্য আন্দোলন হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version