এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রস্তাব ‘অলীক কল্পনা’ বলে জানিয়েছে তেহরান। তবুও আশায় বুক বাঁধছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের সঙ্গে তার আলোচনা অবশ্যম্ভাবী। খুব শিগগিরই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। খবর এএফপির।

সোমবার কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই রুহানির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন ট্রাম্প।

এর প্রতিক্রিয়ায় বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সামরিক কমান্ডাররা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ‘মূল্যহীন’ ও ‘অলীক কল্পনা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে মার্কিন প্রশাসনের সাম্প্র্রতিক তৎপরতায় চরম ক্ষোভে ফুঁসছেন ইরানি কর্মকর্তারা। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়াকে ‘অবৈধ’ অ্যাখ্যা দেন রুহানি। তিনি বলেছেন, ইরানের তেল রফতানিতে বাধা দিতে ওয়াশিংটনের নতুন প্রচারণা সত্ত্বেও সহজে হাল ছাড়বে না তেহরান।

এক প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ‘চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া ও আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরই দোষারোপ করতে পারে। হুমকি, নিষেধাজ্ঞা কিংবা লোক দেখানো আয়োজন কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।’

ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জাফরি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জনাব ট্রাম্প, ইরান উত্তর কোরিয়া নয় যে বৈঠকের বিষয়ে আপনার প্রস্তাব গ্রহণ করবে। এমন কী আপনার পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও এমন দিন দেখবেন না।’

ইরানি কর্মকর্তাদের এমন রোষানলের বক্তব্যের পরেও আশায় রয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় এক সমাবেশে ইরানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে তারা খুব শিগগিরই আমার সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তারা যদি না বসে তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।’

তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ইরানের অভ্যন্তরে কট্টরপন্থিদের মধ্যে ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স। এ কট্টরপন্থিরা ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করলেও তাদের মত উপেক্ষা করেই রুহানি ২০১৫ সালে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version