এশিয়ান বাংলা স্পোর্টস : আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হলেন লিটন কুমার দাস। আর ভেস্তে গেল বাংলাদেশের বড় পুঁজির সম্ভাবনা। ৪১তম ওভারে ১৮৮/৫ সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের বড় পুঁজির সম্ভাবনা তখনও স্পষ্ট। কিন্তু ৪০.৬তম ওভারে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার। পপিং ক্রিজে লিটনের পা লাইনের ভেতরই ছিল। এতে বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের পাওয়ার কথা। কিন্তু রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দিলেন থার্ড আম্পায়ার রড টাকার। শেষে ৯ বল বাকি রেখে ২২২ রানে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

আউট হওয়ার আগে ১১৭ বলে ১২১ রান করেন লিটন কুমার দাস। এতে লিটন হাঁকান ১২টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা। দায় ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদেরও। আত্মঘাতী শটে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাও। ইনিংসে ব্যক্তিগত এক অঙ্কের রানে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের আট ব্যাটসম্যান। খেলা শুরুর আগেই দেখা গিয়েছিল অস্বাভাবিক ঘটনা। খেলা শুরুর অনেক আগেই মাঠের আম্পায়ার হিসেবে প্রকাশ করা হয় মারাইস এরাসমাসের নাম। কিন্তু দ্বিতীয় আম্পায়ার কে? তা জানা যায়নি খেলা শুরুর এক ঘণ্টা আগেও। পরে এ দায়িত্বে দেখা যায় লঙ্কান আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আর টাইগারদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। দারুণ চমকে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ওপেনিং এ দু’জন গড়েন ১২০ রানের জুটি। ২১তম ওভারে দলীয় ১২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ততক্ষণে চিন্তার ভাঁজ ধোনি-রোহিতদের কপালে। কিন্তু এর পর টাইগাররা দেখায় ঠুনকো ব্যাটিং। পরের ৩১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষচ্যুত হয় মাশরাফি বাহিনী। ১৭.৫তম ওভারে বাংলাদেশের দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হয়। গত দুই বছরে এটি বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে প্রথম শতরানের ঘটনা। আর ওয়ানডেতে এটা ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির সংগ্রহ ছিল ১, ১৫, ১৫, ১৬, ৫ রান। গতকাল ৩৩ বলে ৬টি চার দুই ছক্কায় অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন। এতে ইনিংসের ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পৌঁছে ৬৫/০-তে।

এবারের এশিয়া কাপের শুরুর ১০ ওভারে যে কোনো দলের এটি সেরা নৈপুণ্য। ২০.৫তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩২ রানে ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে উইকেট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়ানডাউনে প্রমোশন নিয়ে অল্পতে উইকেট খোয়ান ইমরুল কায়েস। পরে ক্রিজে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৪ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন মাহমুদুল্লাহ। আর ব্যক্তিগত ৫ রানে কেদার যাদবের বলে ডিপ মিড উইকেটে বুমরার হাতে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহীম। ৩২.৩তম ওভারে ১৫২/৫ সংগ্রহ নিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। এর আগে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ৮৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ২ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। বাংলাদেশের ইনিংসে রানআউটে কাটা পড়ে তিন উইকেট।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version