এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফের শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা। রাজনৈতিক দলগুলো এককভাবে আবার জোট বেঁধেও প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। কূটনীতিকরাও দেখা করছেন ক্ষমতাসীনসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে। তারা জোটভুক্ত দলের নেতাদের নিয়ে বসছেন। নির্বাচন কমিশনেও সভা করছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শাসক দলের উদ্যোগ কোন পর্যায়ে আছে, মাঠের বিরোধী দলই বা কি করছে সে বিষয়ে ধারণা নিতেই কূটনীতিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জোটগুলোর তৎপরতার ওপর তারা নজর রাখছেন।

বড় রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও সুশীল সমাজের সঙ্গে তারা বৈঠক করে যাচ্ছেন। অনেকদিন ধরেই এ ধরনের তৎপরতা চলছে। তবে এতদিন বিষয়গুলো নিয়ে রাখঢাক থাকলেও নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এখন ক্রমেই সবকিছু প্রকাশ্যে চলে আসছে।

সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সবাই চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে বড় দুই দলকে যদি কিছুটা ছাড়ও দিতে হয় সে বিষয়ে তাদের সম্মতি আদায় করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবারই প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকরা নির্বাচনসহ সমসাময়িক ইস্যুতে ব্যস্ত সময় পার করেন। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ও ভারতের হাইকমিশনার শ্রিংলা আওয়ামী লীগের সাধারাণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপানসহ প্রায় ৩০টি দেশের কূটনীতিকরা।

এ অবস্থায় বসে নেই নির্বাচন কমিশনও। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি কূটনীতিকদেরও সামাল দিচ্ছে। কূটনীতিকরাও কমিশনের সঙ্গে সভা করে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত হচ্ছেন। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দু’জন এক্সপার্ট পাঠাবে। সম্প্রতি ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুরুতে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সম্প্রতি কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে ক্ষমতাসীনরা। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সামাল দিতে হয়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে যাতে এসবের পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আগেভাগেই সরব ভূমিকা পালন করছে দলটি। দেশে ও দেশের বাইরে এসব যোগাযোগে ক্ষমতাসীনরা অনেকটা সফল বলে দাবি দলটির।

অন্যদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের ওপর একটা আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে জাতিসংঘসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছে দলটি। একই উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন দলটির নেতারা। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে। বিএনপির পাশাপাশি নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও দ্বারস্থ হয়েছে বিদেশিদের কাছে। ফ্রন্ট গঠনের এক সপ্তাহের মাথায় নতুন এ জোটটি বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা ও ১১ লক্ষ্যের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, অন্যান্য দলের মতো আগ বাড়িয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করে না আওয়ামী লীগ। যারা নালিশ করেন এবং এসব নালিশের কারণে বা কূটনীতিকদের নানা বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকে আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করি। আমাদের বিভিন্ন বিষয় তাদের কাছে উপস্থাপন করি। তিনি বলেন, ‘সত্য’ প্রতিটি জিনিস মানুষকে বিমহিত করে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় কূটনীতিকরা উচ্ছ্বসিত। তাছাড়া কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ এটা আওয়ামী লীগের পুরনো রীতি। আগামী নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মতো বিদেশিদেরও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আস্থা আছে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের চেয়ারপারসনকে কারামুক্ত করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা অংশ নিতে চাই। সরকার সেই উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, আমরা দেশের বিরুদ্ধে কোথাও নালিশ করছি না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণতান্ত্রিক বন্ধুরাষ্ট্রগুলো সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। অতীতেও তারা বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। এতে দোষের কিছু দেখছি না। খসরু বলেন, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছি বলে ক্ষমতাসীনরা আওয়াজ তুলছেন। কিন্তু বিরোধী দলে থাকতে দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছে তারা চিঠিও লিখেছে। বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়ার এমন অসংখ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও কূটনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ওই সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট গিবসনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতে দেখা যায়। সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা দূতিয়ালি করেন। সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো কয়েক দফা ঢাকায় আসেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে পাশে বসিয়ে একসঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোয় যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা, কখনও ওই রাষ্ট্রদূতরা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় বা অফিসে আসছেন। কখনও তারকা হোটেলে চলছে দ্বিপক্ষীয় আলাপ। একান্তেও কথা হচ্ছে কোনো কোনো সময়। এভাবেই প্রতিনিয়ত দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চলছে বলে নেতারা মনে করেন।

তারা বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। এ ইস্যুতে তারা আন্তর্জাতিক সমর্থনও পাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় দেখার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন। এসব অর্জনকে তাদের কূটনীতিক ‘বিশাল সফলতা’ হিসেবেই দেখছে আওয়ামী লীগ।

এরই মধ্যে বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ও আগামী নির্বাচন ইস্যুতে কূটনীতিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। এগুলোতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন, পেট্রল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি, তারেক রহমানের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তার শাস্তির বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। সোমবার ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এবং তারেক রহমানের ‘সম্পৃক্ততা ও ভূমিকার’ কথা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অবহিত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, কূটনীতিকদের সঙ্গে আমরা সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলি। সোমবারের বৈঠকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ও তাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা, আগামী নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের জঙ্গি দমন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তারা খুবই সন্তুষ্ট। কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও তার সফলতায় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চাপ অনুভব করছে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতগুলো আমাদের সামনের নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন, আমাদের অভিমত ও করণীয় বিষয়গুলো তাদের কাছে উপস্থাপন করছি। তাছাড়া বিএনপিসহ অন্যান্য দল যারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে তাদের সেসব বিষয়েও অবহিত করা হয়। তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশের উন্নয়নে কূটনীতিকরা খুশি। তারা এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দেখতে চান।

বিএনপি : সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়াতে মরিয়া বিএনপি। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী দেশগুলোকে কাছে পেতে চালানো হচ্ছে নানা ধরনের তৎপরতা। বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘ থেকে শুরু করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনকি প্রতিবেশী ভারতের সমর্থন পেতে জোরদার করা হয়েছে লবিং। সম্প্রতি জাতিসংঘের রাজনৈতিকবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই সময় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। এসব বৈঠকে ঘুরেফিরে উঠে আসে আগামী নির্বাচন। সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য সফরে যাওযার কথা রয়েছে বিএনপির। খুব শিগগরিই এ সফর করবেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলোআপ বৈঠক করতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারেন তারা। পশ্চিমাদের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে দেশটির সমর্থন পেতে বাংলাদেশ এবং লন্ডন থেকে চালানো হচ্ছে তৎপরতা। তাদের আস্থায় আনতে দেয়া হচ্ছে অগ্রিম প্রতিশ্রুতি। আগামী মাসের শুরুতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের কথাও শোনা যাচ্ছে।

দেশের বাইরে দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি ঢাকায়ও কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তাদের করণীয় নিয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতি মাসে ন্যূনতম একবার তাদের সঙ্গে বসছেন নেতারা। আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও পর্দার আড়ালে নিয়মিত তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। চা চক্র বা ডিনারের আড়ালে চলছে নানা আলোচনা। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের বাসায় কূটনীতিকদের সম্মানে ডিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।

জানতে চাইলে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক উইংয়ের সদস্য ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, উন্নত দেশগুলো তাদের নিজেদের দেশে যেভাবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করে আমাদের দেশেও সে রকম একটি সরকার প্রতিষ্ঠায় তারা সহযোগিতা করবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আমরাও যেন তাদের মতো করে একটি গণতান্ত্রিক আবহ তৈরি করতে পারি। উন্নত বিশ্বে যেন মাথা উঁচু করে বলতে পারি আমরাও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি সবাই একবাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে তারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। এ চাওয়া বাংলাদেশের জনগণেরও চাওয়া। উন্নত দেশগুলোও চায় এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version