এশিয়ান বাংলা, রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারায় স্থানীয় এমপি এনামুল হক ও মনোনয়ন বঞ্চিত তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে তাহেরপুর হরিতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবলীগ নেতা চঞ্চল চন্দ্র তাহেরপুর পৌরসভার হলদারপাড়ার নরেন চন্দ্র পিয়নের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সভা করছিলেন। মেয়র আবুল কালাম ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ সময় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এমপি সমর্থক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গুলবর রহমান মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়রের সমর্থকরা শিক্ষক গুলবর রহমানকে আটক করে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পিটিয়ে জখম করে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এমপি এনামুল হকের সমর্থকরা উপজেলার তাহেরপুর বাজারে মেয়রের সমর্থক যুবলীগ নেতা চঞ্চলের ওপর পাল্টা হামলা চালায়।

এ সময় তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কাউসার হোসেন (৪৫) নামে এক শিক্ষকও আহত হন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মেয়রের লোকজন তাহেরপুর বাজারে আসে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশের সামনে এমপির লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা করেছে। এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য চরমপন্থি ক্যাডার আর্ট বাবুর নেতৃত্বে এমপির ক্যাডার বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর এই হামলা চালায়। এদিকে গোপনে ভিডিও ধারণ নিয়ে শিক্ষক গুলবার রহমানের বাকবিতণ্ডার কথা স্বীকার করলেও এরচেয়ে বেশি কিছু হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে, রাজশাহী-৫ (বাগমারা) আসনের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, তাহেরপুর পৌর মেয়র নির্বাচনে বাগমারাকে অশান্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version