এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে গত দশ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এ অবস্থায় বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। এছাড়া বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের পরিবর্তে নিষ্কাশন মূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হচ্ছে এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য ব্যাংকিং খাতকে রাজনীতি থেকে নিষ্কৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে সিপিডি। এদিকে জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র চিহ্নিত করতে নাগরিক কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী?’ শীর্ষক সংলাপে এই তথ্য তুলে ধরে সিপিডি। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দীন আহমদে, সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, ব্যাংকার মো. নুরুল আমীন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

সংলাপে দেশের আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ, সাবেক ব্যাংকার ও আমলারা নানা সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের পরামর্শ দেন।

তারা সবাই ব্যাংক খাত ঠিক রাখতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীন ভূমিকার আশা করেন। বক্তারা বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চলছে। এছাড়া বর্তমান ব্যাংকিং খাতে অধিক হারে আমানত সংগ্রহ, ঋণ ও আমানতের মধ্যে সুদ হারের পার্থক্য, খেলাপি ঋণ, তারল্য সংকট এবং পরিচালনা পর্ষদে পরিবারতন্ত্র প্রকট আকার ধারণ করেছে। এসব সমস্যার মূল সমাধান হচ্ছে ব্যাংক খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা। পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে যেসব আইন আছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা। তারা বলেন, এ অবস্থায় দেশের ব্যাংকিং কাঠামো ভেঙে পড়েছে। যারা লুটপাট করেছে, তাদের বিচার না হওয়ায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন আলোচকরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেল এক দশকে ব্যাংক থেকে সাড়ে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এটি আয়করের ৩৯ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থ। যা পদ্মাসেতু নির্মাণ খরচের চার ভাগের তিন ভাগ। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সোনালী, জনতা, এনসিসি, মার্কেন্টাইল ও ঢাকা ব্যাংকে লোপাট হয়েছে ৫.৮৯ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি; সোনালী ব্যাংকে ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি; জনতা ব্যাংকে ১০ হাজার কোটি; প্রাইম, যমুনা, শাহজালাল, ইসলামী ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১ হাজার ১৭৪ কোটি; এবি ব্যাংকে ১৬৫ কোটি; এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকে ৭০১ কোটি; জনতা ব্যাংকে ১২৩০ কোটি; দ্য ফারমার্স ব্যাংকে ৫০০ কোটি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬৭৯ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। সিপিডি জানায়, লাগামহীন খেলাপি ঋণ, যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ অনুমোদন, ঋণ দেয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ব্যাংকারদের পেশাদারিত্বের অভাবে চরম সংকটাপন্ন দেশের ব্যাংক খাত। এর মূল কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যুক্ত করা, পরিচালকদের দুর্বৃত্তায়ন, দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং সবশেষে ঋণ দেয়ায় সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ব্যাংকিংখাতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। সুশাসনের অভাবে বিভিন্নভাবে লুটপাট হওয়ায় পুরো আর্থিকখাতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগামী বছর সিপিডি একটা নাগরিক কমিশন করতে চায়। কেননা আলাদা কমিশন ছাড়া এ খাতের বিপর্যয় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এজন্য সরকার উদ্যোগ না নিলে সিপিডি নিজ উদ্যোগেই তা করবে। ব্যাংক খাত থেকে যারা টাকা বের করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের নিবৃত থাকতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যাংক খাতের বিষয় উল্লেখ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং খাতের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো কী ভূমিকা রাখবে তা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।

দেবপ্রিয় বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পরই এ কমিটি গঠন করা হবে। এ নাগরিক কমিটি ব্যাংক খাতের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তুলে ধরবে। নাগরিক কমিশন ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাত নিয়ে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করা ও সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরবে এ কমিশন।

তিনি বলেন, সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম হোক, স্থুল হোক কী কী প্রবিধান হতে পারে, সেটার ব্যাপারে নাগরিক সুপারিশ লিপিবদ্ধ করবে। এসব বিষয়ে আমাদের কী কী করণীয় সেসব বিষয়ে নতুন সরকারের কাছে আমরা তুলে ধরবো। এভাবে আমাদের কণ্ঠস্বরকে জাগ্রত রাখবো। দেশের ব্যাংকিং খাত আমাদের হৃদপিণ্ড। সেই হৃদপিণ্ডকে সচল রাখতে আগামী দিনে আমাদের অন্যান্য অঙ্গ থেকে চেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের পরিবর্তে নিষ্কাশন মূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হচ্ছে এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংক পরিচালনা। এজন্য ব্যাংকিং খাতকে রাজনীতি থেকে নিষ্কৃতি দেয়ার দাবি জানান দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের ইশতেহারে উল্লেখ করতে হবে তারা যেন ব্যাংকিং খাতের ওপর কোনো তদারকি না করে। তা না হলে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো কখনোই সম্ভব হবে না।
আলোচনার শুরুতেই সালেহউদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ব্যাংকিং খাতের সমস্যার সমাধান হলো এই (সালেহউদ্দিন) ধরনের লোকদেরকে গভর্নর বানাতে হবে। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে নেমেছে দলগুলো। অথচ ব্যাংকিংখাতের সুশাসন কিংবা স্থিতিশীলতা কীভাবে আসবে ইশতেহারে তার কোনো কিছু আমরা দেখছি না। তাদের প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাত রক্ষায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বোঝাতে হবে যে ব্যাংকিং খাতকে নিষ্কৃৃতি দেন। তা না হলে আগামীদিনে অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ।
ব্যাংকিং খাতের নিয়ম লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের ভিতরে আমি এই প্রথম দেখেছি সাধারণ মানুষ, ব্যাংকের আমানতকারীরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে যে কোনো ব্যাংকে রাখলে তার আমানত নিরাপদ থাকবে। এর আগে কখনোই আমি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হইনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সমস্যার সমাধান করতে কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই জানি কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। নতুন কোনো আইন প্রণয়নেরও দরকার নেই। যে সমস্ত আইন আছে সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমাদের সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জবাবদিহি নেই। এটা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে।

ড. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের অবস্থা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় চলে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দায়িত্ব পালনে অক্ষম। তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের বৈঠক হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে হয়। আমাদের গভর্নর সুবোধ বালকের মতো ভূমিকা পালন করছেন। ব্যাংক মালিকরা যা চাইছে তাই হচ্ছে। এসব কিসের আলামত প্রশ্ন করেন তিনি। এই খাতে আইনের শাসন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত বেসিক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুদক পর্যন্ত ধরতে পারেনি। এই হলো আমাদের আইনের শাসন। আর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ জমিদারের ভূমিকায় চলে গেছে।

ইব্রাহীম খালেদ বলেন, একটি ব্যাংকের পরিচালন মূলধনের মাত্র ৭ থেকে ৯ শতাংশ অর্থের যোগান দেয় মালিকপক্ষ। আর ৯০ শতাংশের মতো যোগান দেন আমানতকারীরা। কিন্তু পরিচালনা বোর্ডে যারা নির্বাচিত হন তারা মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করেন। ৯০ শতাংশের মালিক জনগণের পক্ষে কেউ থাকে না।

তিনি বলেন, এই খাতে কোনো ভদ্রলোকের স্থান নেই। যারা লুটপাট করবে তারাই ব্যাংকিং খাতে থাকতে পারছে বলে তিনি মনে করেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে মধ্যম আয়ের দেশের যে স্বপ্ন তা বাধাগ্রস্ত হবে। সরকার এ খাতের যে ক্ষতি করেছে তা পুষিয়ে নিতে আগামীদিনে কী করবে সেটি এখনই তাদের বলা উচিত। তা না হলে বিশাল এ খাতে মানুষের আস্থা ফিরবে না।
ব্যাংকার নুরুল আমীন বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেশের ভিভিআইপিরা তাদের সম্পদের যে বিবরণ দিয়েছেন তা দেখলে মনে হয় তারা খুবই গরিব। অথচ বাস্তবতা কি তাই? তাদের হলফনামার তথ্য যদি আমরা সত্য ধরে নেই তবে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের স্বপ্নতো সুদূর পরাহত! তার মতে, প্রার্থীরা যেমন সত্য তথ্য দিচ্ছেন না তেমনি ব্যাংকিং কিংবা দেশের আর্থিক খাত নিয়ে যত বুলিই আওড়ানো হোক প্রকৃত অবস্থা কিন্তু খুবই নাজুক। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সুশাসন জরুরি।

বিআইবিএম‘র পরিচালক অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, বাংলাদেশের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ওই সবও ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হয়। কিন্তু বিশ্বে এমনও দেশ আছে যাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আমাদের দেশের চেয়ে অনেক ভালো করছে। যেমন নেপালে খেলাপি ঋণের হার ২.৭ শতাংশ। কিন্তু আমাদের দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ২৮.২ শতাংশ। তাদের স্থানে পৌঁছাতে আমাদের দেশে অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ শাখার প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বর্তমানে খেলাপি ঋণ একটি বড় ধরনের বাধা। এই সমস্যার মূল কারণ নিয়ন্ত্রকরা এখন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সে কারণে আইন থাকা সত্ত্বেও তার কোন প্রয়োগ হচ্ছে না। এই নীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আওয়াল বলেন, ব্যাংকিং খাতে যে ধস হয়েছে এর প্রভাব আগামী প্রজন্মের ওপর পড়বে। তিনি বলেন, ভয়াবহ এই ধসের তুলনা সড়ক-সেতুর সঙ্গে না করে কতটা স্কুল করা যেতো সেটা আসলে আরো ভালো হতো বলে জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, গেল এক দশকে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। যার বিরুদ্ধে সরকারি কোনো ব্যবস্থা সেভাবে দৃশ্যমান হয়নি। বাড়তি খেলাপি ঋণ, যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ অনুমোদন, ঋণ বাগিয়ে নিতে রাজনৈতিক প্রভাব, পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক পরিচয়, ব্যাংকারদের পেশাদারির অভাবে দেশের ব্যাংকিং খাত এখন ক্রান্তিকাল পার করছে।

এসব অনিয়ম ঠেকাতে ও ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ, নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দেয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক ব্যবস্থাসহ জরুরি ভিত্তিতে ৫টি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ, নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দেয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক ব্যবস্থাসহ কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরে সিপিডি। যা বাস্তবায়নে পরবর্তী সরকার কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করে সিপিডি। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, মেক্সিকোর অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির ৭.৪ গুণ বেশি হওয়ার পরও তাদের মাত্র ৪৭টি ব্যাংক, আর বাংলাদেশে ৫৪টি। সমপ্রতি আরও কয়েকটি অনুমোদন দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version