এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নেতৃত্বের পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক ফোরামের দুই সদস্যের বক্তব্যকে ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রোববার ‘লাইভ বিএনপি’র এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এ প্রশ্নটি আজকে পত্রিকায় দেখলাম। নতুন নেতৃত্ব দরকার। যদি নির্বাচন প্রশ্নে এ বক্তব্য হয়ে থাকে তাহলে তারা ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে ফেলেছেন। কারণ এ নির্বাচনের যে রেজাল্ট এটা নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন করলেই পরিবর্তন হয়ে যাবে- এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

কারণ এ নির্বাচনের ফল তো জনগণ নির্ধারণ করেনি। এটাকে তো নির্বাচনই বলা যাবে না। এক কথায়, জনগণের অধিকারকে ডাকাতির মাধ্যমে নিয়ে গেছে।

রীতিমতো ডাকাতি এটা। এই ডাকাতির জন্য যাদের পদত্যাগ করা উচিত, তাদের পদত্যাগ না চেয়ে নেতৃত্বের পদত্যাগ চাইলেন যারা- তারা বোধ হয় ব্যক্তিগত কথা বলেছেন, দলের কথা নয়। তবে যদি দলকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনে এ কথা বলে থাকেন তাহলে কোথায় কোথায় দল দুর্বল আছে সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে।

এই মুহূর্তে আমাদের দলের লাখ লাখ কর্মী জেলে। লাখ লাখ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। তারা ঘরে থাকতে পারে না, বাড়িতে থাকতে পারে না। সে সময় এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে দলের কর্মীদের এক অশান্ত অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়ার কোনো যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না। যারা বলেছেন, নিজ দায়িত্বে বলেছেন। এটা দলের দায়িত্ব বহন করে না।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে নীতিনির্ধারক ফোরামের এই সদস্য বলেন, বিএনপির পরাজয় হয়নি। বিএনপি কখনো পরাজিতের দল নয়। বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি। বরং জনগণের যে রায় সে রায়টাকে রাতের বেলায় সরকারি প্রশাসনকে ব্যবহার করে ছিনতাই করা হয়েছে। আগে হতো দিনের বেলায় এবার হয়েছে রাতের বেলায়। দিনের বেলায় ভোটারদের যে উপস্থিতি ছিল, ওরা যদি ভোট দিতে পারতো তাহলে ফলটা নেহায়েত বদলে যেতো। আজকে যারা কথা বলছেন, তখন বরমাল্য তারা নিজেরাই নিতেন হয়তো।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার করবে এমন বলেছে সরকার, যদি তেমনটি হয় তাহলে দলের দায়িত্ব কে নেবেন? মির্জা আব্বাস বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন শাহাদাতবরণ করেন তখন কেউ জানতো না দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরবেন। একটা দল তার নিজ গতিতেই চলবে। আর তারেক রহমানকে মেরে ফেলবে এনে- এমন ভাবা এ সরকারের জন্য ঠিক হবে না। এ সরকার জনগণের সঙ্গে এক ধরনের ধোঁকাবাজি করছে। চেষ্টা করছেন তারেক রহমানকে একটু অপদস্থ করার। মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান তো দেশ থেকে চুরি-ডাকাতি করে যায়নি, চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার মামলা দিয়ে তাকে আটকে দিয়েছে। এমন তো নয় যে, তারেক রহমান পালিয়ে গেছেন। তিনি যখন যান তখন পাসপোর্টে এক্সিট সিল দেয়া হয়েছিল।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version