এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : অ্যানফিল্ডে ঢোকার আগেই লিভারপুল সমর্থকদের অগ্নিগর্ভ অভ্যর্থনায় পিলে চমকে গিয়েছিল ম্যানসিটির। মাঠের বাইরে সিটির টিম বাসে পানির বোতল আর ক্যান ছুড়ে জানালার কাচ ভেঙে ফেলে লিভারপুলের কিছু উগ্র সমর্থক। পেপ গুয়ারডিওলা হয়তো তখনও আঁচ করতে পারেননি, মাঠে তার দলের জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় দুঃস্বপ্ন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায় থাকা ম্যানসিটিকে ইউরো মঞ্চে আক্ষরিক অর্থেই দুঃস্বপ্নের এক রাত উপহার দিল লিভারপুল। বুধবার ঘরের মাঠে ১৯ মিনিটের ঝড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতে সিটির ইউরো স্বপ্ন কোমায় পাঠিয়ে দিয়েছে অলরেডরা। ১২ থেকে ৩১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে প্রথমার্ধেই মুখ থুবড়ে পড়ে সিটি। এই ধাক্কা সামলে সেমিফাইনালে যেতে আগামী সপ্তাহে নিজেদের ডেরায় ফিরতি ম্যাচটা চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে সিটিকে। কাজটা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি।
প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে দু’দলের প্রথম দেখায় ইতিহাদে সিটির কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল লিভারপুল। সেই সুখস্মৃতিই হতে পারে সিটির বড় প্রেরণা। তবে গত জানুয়ারিতে অ্যানফিল্ডে এসে লিগে মৌসুমের প্রথম ও একমাত্র হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল তারা। হারল এবারও। লিভারপুলের কাছে টানা দুই হারে সিটির আত্মবিশ্বাস গুঁড়িয়ে যাওয়ার কথা। ডাগআউটে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে গুয়ারডিওলাকে দারুণভাবে টেক্কা দিলেন জুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল কোচের মন্ত্র ছিল ঝটিকা আক্রমণ। তাতেই গুয়ারডিওলার পাসিং ফুটবল অকার্যকর হয়ে যায়। পুরো ম্যাচে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখেও লক্ষ্যে কোনো শট নিতে পারেনি সিটি! অন্যদিকে পাল্টা আক্রমণে ৩১ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। ১২ মিনিটে গোল উৎসবের সূচনা করেন লিভারপুলের গোলমেশিন মোহামেদ সালাহ। চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে মিসরীয় ফরোয়ার্ডের ৩৮তম গোল এটি। ২০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আচমকা বুলেটগতির শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন। ৩১ মিনিটে সালাহর অসাধারণ এক ক্রস থেকে হেডে তৃতীয় গোলটি করেন সাদিও মানে। দ্বিতীয়ার্ধে সালাহ চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর কিছুটা গুটিয়ে যাওয়া লিভারপুল গোলসংখ্যা আর বাড়াতে পারেনি। সিটিও পারেনি ম্যাচে ফিরতে।