এশিয়ান বাংলা স্পোর্টস : বড় স্বপ্ন নিয়েই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টুর্নামেন্ট শুরুর বেশ কদিন আগেই দেশটিতে পা রাখে সালমা খাতুনের দল। প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে তারা। কিন্তু এসব প্রস্তুতি প্রথম ম্যাচে কোনো কাজেই লাগল না। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

গায়ানার প্রভিডেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে ক্যারিবীয় মেয়েদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। জাহানারা আলম (৩/২৩) আর রুমানা আহমেদের (২/১৬) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮ উইকেটে ১০৬ রানে থেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। এই স্বল্প রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয় পেসার দিয়েন্দ্রা ডটিনের তোপের মুখে হেরেছে বাংলাদেশ। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। তাতে ৫.২ ওভার হাতে রেখেই মাত্র ৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি সর্বনিম্ন রানের দলীয় ইনিংস। এই পথে চার বছর আগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গড়া রেকর্ডটাই নতুন করে লিখিয়েছে সালমার দল। সেবার ইংলিশ মেয়েদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৫৮ রান তুলেছিল এই সালমা খাতুনেরই দল।

অর্থাৎ, প্রথম ম্যাচেই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ রেকর্ড গড়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করল মেয়েরা। সেটি অবশ্যই ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য। দলের কেউ দুই অঙ্কে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি! ফারজানা হকের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৮ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ রান এসেছে আয়েশা রহমান আর ‘এক্সট্রা’ থেকে। সবার রানসংখ্যা পাশাপাশি রাখলে মোবাইল নম্বর ভেবে ভুল হতে পারে।

নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ডটিন। তার আগে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২৮। এরপর মাত্র ৬.৪ ওভার টিকতে পেরেছে সালমা খাতুন। ১৪.৪ ওভারে বাংলাদেশ দল যে গুটিয়ে গেছে, সেটি মূলত ডটিনের আগুনে বোলিংয়ের জন্যই। গতি আর নিখুঁত লাইন-লেংথের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন এই পেসার। নিজের প্রথম দুই ওভারে তিন বলের ব্যবধানে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। এরপর তাঁর চতুর্থ ওভারে গিয়ে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। সেই ওভারেও চার বলের ব্যবধানে ২ উইকেট নেন ডটিন। এর মধ্যে তিনি প্রথম ৪ উইকেট নিয়েছেন ১২ বলের ব্যবধানে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার (৩.৪-০-৬-৫) এখন ডটিনের।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version