বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। দাবি না মানা পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলসহ বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটাররা।

বেতন বৃদ্ধিসহ ১১টি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা সোমবার দুপুরে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমসহ আরও অনেক ক্রিকেটার। অন্যদের মধ্যে- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার জুনায়েদ সিদ্দিকী, রুবেল হোসেন, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়সহ প্রায় সব ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই তাদেরকে এই ধর্মঘটের আওতায় রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাকিব।

বেশ কয়েকমাস ধরেই পেশাদার ক্রিকেটাররা তাদের উদ্বিগ্নের বিষয়টি জানিয়ে আসছিলেন। সবশেষ সাকিব আল হাসান নিজেই একটি গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে দমনমূলক নীতিতে চলা হচ্ছে। তাদের আরও ভালোভাবে দেখভাল করা উচিত। আরও মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নেই।

সোমবার দুপুরেই গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, অসন্তোষসহ দেশের ক্রিকেট ঠিকভাবে চলছে না মনে করা ক্রিকেটাররা সোমবার বিকালেই সংবাদ সম্মেলনে আসবেন। আর ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচির ডাকও আসতে পারে।

শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। এর ফলে জাতীয় দলে আসন্ন ভারত সফর ও ঘরোয়া লিগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল।

প্রসঙ্গত, গত মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজ-ভিত্তিক প্রথা বাদ দেয়ার ঘোষণা দেয় বিসিবি। এতে পেশাদার ক্রিকেটারদের আয় বিগত সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কমে হবে।

পাশাপাশি, চলতি মাসের শুরুর দিকে মাঠে গড়ানো প্রথম শ্রেণির লীগে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি না বাড়ার ফলেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিয়ে পেশাদার ক্রিকেটাররা গত কয়েক মাস ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্রিকেটারদের শোষণ করা হচ্ছে, তাদের আরও ভালোভাবে ‘ট্রিট’ করা উচিত।

তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এমন বক্তব্য ক্রিকেটমহলসহ অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version